পবিত্র কুরআন আল্লাহ তা‘আলার এক মহান দান। মানব জাতির জন্য এক অশেষ রহমত। এতেই নিহীত রয়েছে তাদের কল্যাণ-অকল্যাণ। হযরত উমর রা. বর্ণনা করেন- ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- আল্লাহ তা‘আলা এ কুরআনের মাধ্যমে কতক সমপ্রদায়কে মর্যাদার আসনে উন্নীত করেন। আবার এরই মাধ্যমে অপর কতক সম্প্রদায়কে লাঞ্ছিত করেন’।
কুরআনের মাধ্যমে মর্যাদাবান হওয়ার পন্হা হল-
’যাদেরকে আমি কিতাব দান করেছি তাদের মধ্য থেকে যারা তা যথাযথভাবে তিলাওয়াত করে, প্রকৃত পক্ষে তারাই এ কিতাবের উপর বিশ্বাস স্হাপনকারী বূপে গণ্য; আর যারা তা প্রত্যাখ্যান করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (সুরা বাকারা-১২১)
উক্ত আয়াতে যথাযথভাবে তিলাওয়াতকারী বলতে বুঝানো হয়েছে- যে তিনটি কাজ করে-
ক. সহী-শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করে।
খ.কিতাবের অর্থ বুঝে, অনুধাবন করে এবং চিন্তা-ফিকির করে।
গ. এর আদেশ নিষেধ মেনে চলার চেষ্ঠা করে। (রুহুল মাআনী-১/১৫২)
যে ব্যক্তি এ তিনটি হক আদায় করবে সে-ই পরিপূর্ণ ঈমানদার বলে সাব্যস্ত হবে। সঙ্গত কারণেই কুরআন-হাদিসে তিলাওয়াতের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কুরআন তিলাওযাতকে স্বাধারণত ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
১. কুরআন বুঝে তিলাওয়াত করা।
২. কুরআন না বুঝে তিলাওয়াত করা।