আল্লাহর জন্য জীবন মরণ-২

মৃত্যু আল্লাহর জন্য কীভাবে হবে

আয়াতের শব্দ وَمَمَاتِي অর্থাৎ মৃত্যুও আল্লাহর জন্য -এর উদ্দেশ্য হল, হয়ত আল্লাহর রাহে জিহাদ করতে করতে জীবন বিলিয়ে দেওয়া। যদি জিহাদের সুযোগ না হয়, তাহলে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার উপর সন্তুষ্ট থাকা, যখন আল্লাহ তাআলা আমার ব্যাপারে ভাল মনে করবেন আমাকে মৃত্যু দান করবেন।

যদিও মৃত্যুর কামনা করতে নিষেধ করা হয়েছে, কিন্তু তার জায়গায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়া পড়ার উৎসাহ প্রদান করেছেন।

اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الحَيَاةُ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الوَفَاةُ خَيْرًا لِي.

‘‘হে আল্লাহ যে পর্যন্ত আমার জন্য জীবিত থাকা উত্তম হবে, সে পর্যন্ত আমাকে জীবিত রাখ। যখন আমার মৃত্যুরবণ আমার জন্য ভাল হবে, আমাকে মৃত্যু দাও।’’ -জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৭০

সুতরাং মানুষ যখন নিজের জীবন ও মরণকে আল্লাহর হাতেই ছেড়ে দিবে তখন তার জীবিত থাকাও আল্লাহর জন্য হবে, মৃত্যুবরণ করাও আল্লাহর জন্য হবে।

কোনো অবস্থাতেই মুমিনের ক্ষতি নেই

একটা সময় ইচ্ছা করেই অনুশীলন করা দরকার যে, জীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে করব। যদি এটা করে নেওয়া যায়, তাতে সকল জায়েয কাজে সাওয়াব হবে। কারণ মুমিনের কোন অবস্থাতেই ক্ষতি নেই। সে যদি আনন্দের সময় আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায় করে, তাও ইবাদত হয়। আর যদি দুশচিন্তার সময় ধৈর্য ধারণ করে এবংপড়ে,

إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ

এবং আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্ত ও ইচ্ছার নিকট নিজেকে অর্পণ করে দেয়, তার ব্যাপারে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,

إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ.

‘‘ধৈর্যশীলদেরকে বে-হিসাব প্রতিদান দেওয়া হবে।’’-সূরা যুমার ৩৯ : ১০

অর্থাৎ আল্লাহর জন্য যেকোনো জিনিসেই ধৈর্য ধারণ করা হবে আল্লাহ তাআলা তাকে অপরিমিত দান করবেন।

সুন্নাতের উপর আমলকারী ব্যক্তি রাসূলের নিকটবর্তী

ইতিপূর্বে হয়ত আমি এই ঘটনা শুনিয়েছি, হযরত মুআয বিন জাবাল রা. একজন প্রসিদ্ধ ও প্রিয় সাহাবী ছিলেন। তার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মনের কথাও বলতেন। আবার কখনো কখনো তাকে শাসনও করতেন।

সম্ভবত নবম হিজরীর ঘটনা। দ্বীনী কাজের প্রয়োজনে তাকে ইয়ামান পাঠানো হয়। সেখানে একজন শাসকের প্রয়োজন ছিল, যিনি শাসনকার্য পরিচালনা করবেন, আবার মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষা দায়িত্বও আদায় করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনোনয়ন দৃষ্টি হযরত মুআয বিন জাবাল রা.-এর প্রতি পড়ল। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি ইয়ামান চলে যাও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ অবস্থায় মদীনা থেকে বিদায় দিলেন যে, হযরত মুআয বিন জাবাল রা. ঘোড়ায় সাওয়ার আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘোড়ার লাগাম ধরে দূর পর্যমত্ম বিদায় জানানোর জন্য যাচ্ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহীর মাধ্যমে এও জানতে পেরেছিলেন, তিনি আর অল্প দিনই দুনিয়াতে থাকবেন। এদিকে মুআয বিন জাবাল রা.-এর তাড়াতাড়ি ফেরার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁটতে হাঁটতে হযরত মুআয বিন জাবাল রা.-কে বললেন, হে মুআয! এই হয়ত তোমার ও আমার শেষ দেখা। এরপর হয়ত তুমি আমাকে আর দেখতে পাবে না। হযরত মুআয রা.-এর মত জীবন উৎসর্গকারী সাহাবী এতক্ষণ নিজেকে সংযত রেখেছেন, কিন্তু যখন এ কথা শুনলেন, হে মুআয! আজকের পরে হয়ত তুমি আমাকে আর দেখতে পাবে না। হযরত মুআয রা.-এর চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরও চোখে পানি এল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, মুআয! যদিও তুমি আমার থেকে দূরে কিন্তু স্মরণ রেখো-

إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِي الْمُتَّقُونَ مَنْ كَانُوا وَحَيْثُ كَانُوا

‘‘মুত্তাকীরাই আমার নিকটতম ব্যক্তি, তারা যে-ই হোক, যেখানেই থাকুক।’’- মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২০৫২

সুতরাং যে ব্যক্তি সুন্নাতের উপর আমল করবে, সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে, চাই সে যতই দূরে থাকুক। আর যে সুন্নতের উপর আমল করবে না, সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দূরে, যদিও সে মদীনাতেই থাকে।

এক আশ্চর্য ঘটনা

আমার শ্রদ্ধেয় আববাজান রাহ. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মুবারকে যখনই উপস্থিত হতেন, সাধারণত রওজা মুবারকের বেষ্টনী থেকে একটু দূরে একটি খাম্বার পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন। একদিন তিনি বললেন, একবার আমি মনে মনে বলছিলাম, তোমার দিল কত পাষাণ সবাই তো বেষ্টনীর পাশে গিয়ে বসে পড়ে আর তুমি সামনেই যাও না। পিছনেই থাক? তখন অনুভব হল, রওজা মুবারক থেকে আওয়াজ আসছে, যে আমার সুন্নাত অনুযায়ী আমল করে সে আমার নিকটবর্তী। চাই সে বাহ্যিকভাবে যত দূরেই হোক। আর যে আমার সুন্নাত অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার থেকে দূরে। চাই সে আমার রওজার বেষ্টনী জড়িয়ে ধরে থাকুক।

মোটকথা, মুমিনের জীবন-উদ্দেশ্য হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত অনুযায়ী আমল করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা

কবি বলেন,

نہ تو ہے ہجر ہی اچھا، نہ وصال اچھا

يار جس حال ميں رکھے وہی حال اچھا

না বিচ্ছেদ, না মিলন/ বন্ধু যেভাবে রাখে সেভাবেই ভাল।

মুহাববাতের প্রকৃত দাবি

সাহাবায়ে কেরাম রাযিআল্লাহু আনহুমকে দেখুন! মক্কা মদীনায় জন্মগ্রহণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্যে ধন্য হয়েছেন। কিন্তু তাদের মৃত্যুকালীন অবস্থা হল, কেউ তো কনস্টান্টিনেপলে মৃত্যু বরণ করছেন। কেউ সিন্ধুতে এসে শহীদ হয়েছেন। অথচ মুহাববাতের দাবি তো ছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে থাকবেন সেখান থেকে কেউ একটুও দূরে যাবেন না। তবে তারা মুহাববাতের আসল দাবি কী তা জানতেন। মুহাববাতের মূল দাবি তো এটা নয়, মাহবুবের সাথেই লেগে থাকবে। বরং মুহাববাতের দাবি হল, মাহবুবের সন্তুষ্টি অনুযায়ী কাজ করা

সুতরাং মুমিন যদি আল্লাহ তাআলার হুকুম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসারী হয়, তাহলে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটবর্তী, চাই সে বাহ্যত যত দূরেই হোক। কবির ভাষায়,

وہ وفا سے خوش نہ ہوں تو پھر وفا کچھ بھی نہيں

মুহাববাত সমর্পণ ও সন্তুষ্টি ছাড়া আর কী?/ তিনি যদি সন্তুষ্টই না হন তাহলে আর ওফাদারি কী?

আল্লাহ তাআলা কখনো এভাবেও দান করেন

হাজ্বী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির একটি ঘটনা আমি আমার আববাজান রাহ. এবং আমার শায়খ হযরত মাওলানা আরেফী রাহ.-এর কাছে শুনেছি। এক ব্যক্তি হাজ্বী সাহেবের সামনে এসে বলতে লাগলেন, অনেকে প্রতি বছর হজ্ব করছেন। আমার আফসোস, তারা তো বারবার হাযিরা দিচ্ছে আর আমার সামর্থ্য নেই, তাই হাযিরার তাওফিক হচ্ছে না। হাজ্বী সাহেব রাহ. বললেন, আল্লাহ তাআলা কি শুধু মক্কা মদীনায় আছেন, না এখানেও আছেন? যদি আল্লাহ তাআলা সব জায়গায় থাকেন আর তুমি সামর্থ্যের অভাবে সেখানে যেতে পারছ না, তাহলে কি শুধু এ জন্য আল্লাহ তাআলা তোমাকে মাহরূম করবেন যে, তোমার কাছে টাকা ছিল না। তুমি আল্লাহর ব্যাপারে এতটা নিচু চিমত্মা কর! স্মরণ রেখো, যদি তোমার নিয়ত এই হয়, আমার সামর্থ্য হলে ইনশাআল্লাহ সেখানে হাযিরা দেব। তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাকে এর মাধ্যমেও প্রতিদান দিবেন। তার শান তো হল, কখনো নেক কাজের মাধ্যমে প্রতিদান দেন, আবার কখনো নেক কাজ করতে না পারার আফসোসের মাধ্যমে প্রতিদান দেন।

নেক কাজ করতে না পারার আফসোসে কামারের মর্যাদা বৃদ্ধি পেল

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রাহমাতুল্লাহি আলাইহিকে এক ব্যক্তি স্বপ্নে দেখল, লোকটি তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, আপনার সাথে আল্লাহ তাআলা কেমন আচরণ করেছেন? তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা বড় দয়ার আচরণ করেছেন। তবে আমার প্রতিবেশী কামার যে মর্যাদা পেয়েছে, তা আমার ভাগ্যে জুটেনি। কারণ, সে কামার হওয়া সত্ত্বেও যখনই তার কানে ‘হাইয়া আলাসসালাহ’ -এর আওয়াজ পৌঁছত। হাতুড়ি মাথার উপর থাকলেও তা লোহায় না মেরে পিছনে ফেলে দিত। নামাযের জন্য চলে যেত। আর সে তার স্ত্রীকে বলত, আমি তো দিনরাত দুনিয়ার পিছনেই ব্যস্ত থাকি তাই অমুক আল্লাহর বান্দা যেভাবে রাতভর নামাজ পড়ে সেভাবে নামায পড়ার সুযোগ আমার হয়ে উঠে না! আমিও অবসর পেলে আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারকের মত রাতের বেলা ইবাদত করতাম! আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি তোমার এ আফসোসের প্রতিদান দিলাম। তোমাকে আমি ঐ মর্যাদা দান করলাম, যা আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারককেও দান করিনি।

প্রতিদিনের আমল

আমার হযরত ডা. আব্দুল হাই রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলতেন, যখন তুমি ফজরের নামায আদায় করবে, অন্তরে একবার নিয়ত করে নাও, আজ আমি যে কাজই করব আল্লাহর জন্য করব। এরপর যখন নিজের অফিসে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হবে, এ নিয়ত করবে, আমি আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব আদায় করার জন্য যাচ্ছি। এতে এমনিতেই অন্তরে এ অনুভূতি সৃষ্টি হবে যে, এ কাজ আমি আল্লাহর জন্য করছি। তাই তাঁর দেয়া দায়িত্ব তাঁর হুকুম অনুযায়ী করব। ফলে ঘুষ, মিথ্যা, ধোকার মত গোনাহে লিপ্ত হবে না। আবার যখন ঘরে ফিরে আসবে, ঘরে প্রবেশের পূর্বে এ নিয়ত করে নাও, আমি আমার পরিবারের সাথে কথাবার্তা, হাসিখুশি আল্লাহর হুকুমের কারণে করব। এরপর রাতে এ বিষয়গুলোর হিসাব নিবে, আমি কি নিয়ত অনুযায়ী আমল করেছি, না করিনি? যে কাজগুলো নিয়ত অনুযায়ী হবে সে ব্যাপারে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। আর যে কাজগুলো নিয়ত অনুযায়ী হয়নি, তার জন্য ইসতেগফার কর। এ ইসতেগফার ও তাওবার বরকতে মর্যাদার একটি সত্মর বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তাআলার ক্ষমা নসিব হবে। আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবা খুবই প্রিয়।

এটাকে নিজের প্রতিদিনের মামূল বানিয়ে নিন। আর সকালে উঠে এ আয়াত পড়ে নিন,

إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ.

‘‘আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সারা জাহানের রব আল্লাহর জন্য।’’

এর দ্বারা লাভ হবে, ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে গাফলতের হালাত শেষ হয়ে যাবে। আর আল্লাহ তাআলার সুন্নাত হল, যে তার রাস্তায় চলতে শুরু করে, পড়ে-উঠে হলেও সে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেই যায়। বরং আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেন, যে আমার রাস্তায় মেহনত করে, আমি তার হাত ধরে আমার রাস্তায় নিয়ে যাই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَهْدِيَنَّهُمْ سُبُلَنَا.

‘‘যারা আমার পথে চেষ্টা করে, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করবো।’’ -সূরা আনকাবুত ২৯ : ৬৯

হযরত থানবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বাচ্চা যখন হাঁটতে শুরু করে, প্রথমেই হাঁটতে পারে না। বরং পড়ে-ওঠে, পড়ে-ওঠে হাঁটতে থাকে। সামনে মা-বাবা তাকে ডাকে। হাঁটতে হাঁটতে যখনই পড়তে যায়, মা-বাবা তাকে অগ্রসর হয়ে ধরে ফেলে, তাকে পড়তে দেয় না। তাহলে দয়ার সাগর, আরহামুর রাহিমীন নিজ বান্দাকে কীভাবে ছেড়ে দিবেন? কীভাবে পড়তে দিবেন?

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আমল করার তাওফীক দান করুন। তাঁর সন্তুষ্টির জন্য বেঁচে থাকার ও মৃত্যুবরণ করার আগ্রহ দান করুন। আমীন।

 

(হযরতের এ বয়ানটি বাইতুল উলূম আনারকলি লাহোর থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এখানে তার সংক্ষেপিত ও পরিমার্জিত অনুবাদ পেশ করা হল। অনুবাদ- মুনশী মুহিউদ্দিন আহমাদ)

Leave a Comment

Your email address will not be published.