একটি ভুল কথা : খোদার পর বাবা-মা তারপর নবীজী!

এ কথাটি লোকমুখে আগেও শুনেছি। কিন্তু কদিন আগে যখন দেশের বড় একজন লেখকের লেখায় কথাটি দেখলাম তখন ভাবলাম এটা লোক সম্মুক্ষে  আসা দরকার।

এ কথা সত্য যে আল্লাহ তায়ালা মা-বাবার হককে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন এবং মা বাবার সাথে সদাচরণ সন্তানের উপর আবশ্যক করে দিয়েছেন। এমনকি মা-বাবা যদি সন্তানকে কুফ্রী করতে বলে তবুও। কুফরীর ক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করবে না কিন্তু এর পরও তাদের সাথে সদাচরণ করবে।

আলকুরআনুল কারীমে আল্লাহর সাথে শিরক না করার আদেশের সাথে সাথেই মাতা পিতার সাথে সদাচরণের কথা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, (অর্থ) তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন, তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে …। সূরা বনী ইসরাঈল : ২৩

কিন্তু ‘খোদার পরে বাবা মা তারপর নবীজী’ এ জাতীয় কথা কুরআন হাদীসের কোথাও নেই। হাদীস শরীফে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট বলেছেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হবে না যতক্ষণ আমি তার কাছে তার পিতা (মাতা) সন্তান এবং সকল মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় না হব। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪৪)

বরং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতে হবে। হাদীস শরীফে এসেছে, তোমরা কেউ ঐ পর্যন্ত মুমিন হবে না, যে পর্যন্ত আমি তার কাছে তার প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয় না হই। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৮০৪৭;সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬৩২)

আলকুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (অর্থ) নবী মুমিনদের কাছে তাদের প্রাণ অপেক্ষা বেশি প্রিয়…। (সূরা আল আহযাব, (৩৩):৬) আল্লাহ আমাদের দ্বীনের সহীহ সমঝ নসীব করুন এবং দ্বীনের মেজায বোঝার তাওফীক দান করুন। আমীন।

Leave a Comment

Your email address will not be published.