ঘরে প্রবেশের দোয়া

মহানবী হাদিসে ঘরে প্রবেশের সময় আল্লাহর নাম নেওয়ার প্রতি তাকিদ করেছেন। আর এ ক্ষেত্রে নবীজির মোবারক মুখ-নিঃসৃত ঘরে প্রবেশের ক্ষেত্রে যে দোয়া টি উচ্চারণ করাই সর্বাধিক সুন্দর হবে বলে মনে করি। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অভ্যাস ছিল, যখনই তিনি ঘরে প্রবেশ করতেন, তখনই তিনি এই দু‘আটি পাঠ করতেন:
আল্লাহুম্মা ইন্না আসআলুকা খাইরাল মুলিজি খাইরাল মুখরিজি বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়ালাল্লাহি রাব্বানা তাওয়াক্কালনা।
অর্থ:  “হে আল্লাহ ! আমি আপনার কাছে সর্বোৎকুষ্ট প্রবেশ পার্থনা করি।

অর্থাৎ- আমার প্রবেশ যেন কল্যানে ভরপুর হয়। আবার যখন ঘর থেকে আমি বের হই, তখন যেন তাও হয় কল্যাণে ভরপুর।

স্বভাবতই যখন কোনো মানুষ বাইরে গমন করে, তখন ঘরের কোনো খোজ-খবর আর তার কাছে থাকে না। ফিরে এসে না জানি কোন বিপদের মোকাবেলা তকে করতে হয় দ্বীন বা দুনিয়াবী নানা দুঃখ-দুর্দশা ও পেরেশানীর মধ্যে জড়িয়ে পড়ারও সম্ভাবনা থাকে। এ কারণেই ঘরে প্রবেশের পূর্বে আল্লাহর কাছে কল্যাণ চেয়ে নেয়া উচিত, যাতে সকলকে সুখী পাওয়া যায়।

আবার যখন ঘর থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন হবে, তখনও যেন কোনোরূপ প্রতিকূলতার মুখে পড়তে না হয় কিংবা যেন কোনো দুঃখ-কষ্ট বা পেরেশানীর তাগিদে বের হতে না হয়; বরং এই বের হওয়াও যেন সুখকর হয়। যেমন কোন ব্যক্তি ঘরে ফিরেই জানতে পারলো, তার স্ত্রী অসুস্হ। এমতাবস্হায় তাকে ওষুধ  ও চিকিৎসার জন্য ঘর থেকে বের হতে হলো অথবা ঘরের মধ্যে কোন পেরেশানী দেখা দিল, আর এর তদ্বিরের জন্য তাকে ঘর থেকে বের হতে হলেঅ। এ সবের কারণে বের হওয়া কিছুতেই সুখকর নয়।

এসব দুরাবস্হা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই নবীজি সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দু‘আটি শিক্ষা দিয়েছেন। দু‘ইটি মুখস্ত রাখতে ঘেরের দরজায় লিখে রাখা যায়।  কেননা, দু‘আটি তো যাবতীয় পেরেশানী থেকে রক্ষা পাওয়ার উপলক্ষ। পরকালের সাওয়াব ওফজিলত তো পৃথক পৃথকভাবেই লাভ হবে।

সুতরাং মানুষ যখন এই বলে দু‘আ করে ঘরে প্রবেশ করবে যে, আমার ঘরে প্রবেশ করাও যেন কল্যাণকর হয় আর ঘর থেকে  বের হওয়াও যেন কল্যাণকর হয়; তখন শয়তানের এই ঘরে প্রবেশকরার ও অবস্হান করার আর কোন সুযোগ থাকে না। এ কারণেই শয়তান বলে, এই ঘরে আমার জন্য অবস্হান গ্রহণ করার  আর কোন সুযোগ নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published.