থাকা ও খাওয়ার সময় শয়তানকে দুরে রাখি

হযরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত অন্য এক হাদীসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “কোন ব্যক্তি যখন নিজ ঘরে প্রবেশকালে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে এবং খাওয়ার সময়ও আল্লাহর নাম নেয়; তখন বিতাড়িত শয়তান তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের ডেকে বলতে থাকে, এই ঘরে তো তোমাদের রাত যাপনের কোন সুযোগ নেই। কেননা, ঘরের মালিক তথায় প্রবেশকালে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করেছে এবং  খাওয়ার সময়ও তারই নাম নিয়েছে। ফলে এখানে রাত যাপনের আশার গুঁড়ে বালি। আর খানা খাওয়ার ব্যবস্হাও ভন্ডুল হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে, কোনো ব্যক্তি যখন নিজ ঘরে প্রবেশকালে আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করে সরাসরি ভেতরে ঢুকে পড়ে, তখন শয়তান তার সঙ্গীদের বলতে থাকে, চলো ভাই  চলো ! তোমাদের অবস্হান গ্রহণের ব্যবস্হাও হয়ে গেছে, তোমাদের রাত যাপনের এন্তেজামও হয়ে গেছে। কেননা,  এখানে আল্লাহর নাম উচ্চারণ  করা হয়নি। আর লোকটি যখন খেতে বসেও আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করে, তখন শয়তান সাথীদের বলতে থাকে, তোমদের খানাপিনার  ব্যবস্হাও হয়ে গেছে।” (আবু দাউদ)।

মোটকথা, হাদীসটি থেকে পরিস্কার বোঝা গেল যে, আল্লাহর নাম না নিলে শয়তানের অধিকার সাব্যস্ত হয়ে যায়। বলাবাহুল্য, শয়তানের এহেন অনুপ্রবেশের অনিবার্য ফলাফল এই দাড়ায় যে, সে ঘরওয়ালাদের বিভিন্নভাবে ফুসলাতে ও প্ররোচিত করতে থাকে। গোনাহ ও অবৈধ কাজে আকৃষ্ট করতে থাকে। মন-মগজে বাজে খেয়াল ও ওসওয়াসা দিতে থাকে। দ্বিধা-সংকোচ ও মনের দুর্বলতা সৃষ্টি করে। আর খানাপিনার মধ্যে শয়তানের জন্য সুযোগ হয়ে যাওয়ার ফল দাড়ায় যে,  আমাদের গৃহীত খাদ্যে আর কোনো বরকত আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় না। বড়জোর রসনা-তৃপ্তি হতে পারে, কিন্তু ঐ খাদ্যে কোন নুর ও বরকত থাকে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published.