দ্বীনের পাঁচটি বুনিয়াদ

আমাদের উপর আরোপিত দ্বীন ইসলামের বিধানবলী পাঁচ প্রকার। যথা- আকাঈদ, ইবাদাত, মু‘আমালাত, মু‘আশারাত ও আখলাক। গোটা দ্বীন এই পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। এর কোন একটিকে বাদ দিলে দ্বীন অপূর্ন হয়ে পড়ে। সুতরাং ঈমান-আকীদাও ঠিক হওয়া চাই; এবাদত-বন্দেগীও সুচারুরূপে আঞ্জাম দেয়া চাই। লেনদেন ও বেচা-কেনার নিয়মাবলী মরীয়তসম্মত হওয়া চাই। সাথে সাথে স্বভাব-চরিত্রও ভালো হওয়া চাই। সর্বোপরি , জীবনযাপনের নিয়ম-পদ্ধতিও সঠিক হওয়া চাই। এই শেষোক্তটারই নাম মু‘আশারাত।

এ যাবৎ আখলাতের আলোচনাই সর্বইধক পরিমাণে হচ্ছিল। এরই মাঝে ইমাম নববী (রহ:) এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন, যাতে দ্বীনের এমন সব হাদীস ও রেওয়ায়েত উল্লেখ করা হলো, যার বিষয়বস্তু হচ্ছে  মু‘আশারাত। একে অপরের সাথে জীবনযাপন করতে যেসব নিয়ম-শৃঙ্খলা ও আদব-কায়দার প্রয়োজন হয়, তারই নাম মু‘আশারাত। অর্থাৎ জীবনযাপনের সঠিক নিয়ম-কানুন, খানাপিনার আদব-কায়দা. ঘরে বসবাস, বাইরে জলাচল এবং মানুষের সাথে কথাবার্তা, উঠাবসা ইত্যাদির প্রত্যেকটিই মু‘আশারাতের অন্তর্ভুক্ত।

হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ:) বলতেন, “এই যুগে লোকজন মু‘আশারাতকে তো একেবারে দ্বীনের বহির্ভূত বিষয়ে পরিণত করে রেখেছে। এ ক্ষেত্রে তারা দ্বীনের অনুশাসনকে অগ্রাহ্য করে যাচ্ছে।  এমনকি যাদের নামায-রোযা পাকা, তাহাজ্জুদ কখনো ছুটে না, তেলাওয়াত-তাসবীহাত ও জিকির-আজকার নিয়মিত; তাদের মু‘আশারাতও আজ  শরীয়তবহির্ভূত। যার ফলে তাদের দ্বীন অঙ্গহীন, অপূর্ণ।”

এ কারণেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিধৃত বিধানাবলী ও শিক্ষাসূহ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অবগত হয়ে গুরুত্বসহকারে আমল করা জরুরি। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
আমীন!

Leave a Comment

Your email address will not be published.