পর্দা ও নারীর ব্যক্তিত্ব

নারীর অধিকার

বর্তমান সমাজে পর্দা ও নারীর ব্যক্তিত্ব খুবই পরিপুরক বিষয়। একটি নারীর স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে আমরা খুব সহজে ধারণা পাই এ থেকে।

আমরা রীতিমতোই লক্ষ করি, আমাদের সমাজে একজন মানুষ শিক্ষা, শিল্প, অর্থ ও কর্মে যত উন্নত হতে থাকে সামাজে তার মর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব ততোই বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই সাথে আমরা এও লক্ষ করি, মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বে একজন মানুষ যত উপরে ওঠতে থাকে ততোউ সে সাধারণের নাগারের বাইরে চলে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে উচ্চ অট্রালিকার এমন প্রকোষ্টে  গিযে ঠাই নেয় তারা- যেখানে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে একজন সাধারণ নাগরিকের পৌছুতে কত বাধা, কত প্রচিীর পার করতে হয়্  অধিকন্তু তারা যদি ইচ্ছে করেন ও তাহলেও সেই সংরক্ষিত আবাস  ছেড়ে সাধারণ নাগরিকের পাশে এসে দাড়াতে পারেন না; মুক্ত জীবন যাপন করতে পারেন না; মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়াতে পারেন না। কথনো বেড়াতে বেরুলে একগাদা দেহরক্ষী তাকে বেষ্টন করে রাখে। আচ্ছা, এটা কি বন্দী জীবন নয় !!! নিশ্চয় এটা বন্দী এবং আবদ্ধ জীবন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, সচিব কিংবা উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তা কি আবদ্ধতার এই প্রচিীরকে বন্দীশালার শৃঙ্খল বলেছেন?? আজ পর্যন্ত  তাদের কেউ কি এই বন্দী ঘরের প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে সাধারণ কর্মচারীদের কাতারে এসে অন্তত একটু করে হলেও মুক্ত হবার খায়েশ দেখিয়েছেন? কিংবা বিরক্ত হয়ে জানালার ভারী পর্দা, আত্নরক্ষার সরকারী বাহিনীকে অপসারিত করেছেন? করেননি। কারণ, এই প্রচিীরবদ্ধ জীবনকে তারা তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ মনে করেন। তারা  মনে করেন, একজন উচ্চপদস্হ অফিসারের অফিস কক্ষ এমন হওয়া উচিত নয় যে, তাকে বাইরে থেকে দেকা যাবে কিংবা যে কেউ যে কোন সময় তার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে।

অথচ আমরা যদি মানব সংসারে নারীর গুরুত্ব প্রয়োজন ও অবদানের কথা ভাবি, তাহলে কী প্রমাণিত হয়? একজন নারী-নারী হিসেবে তার ব্যকিতত্বটি একজন যে কোন উচ্চপদস্হ রাজ কর্মচারীর তেকে কম? একজন রাজকর্মচারী উচ্চকক্ষে বসে কি করেন? বড় জোর দেশে কী করে দুপয়সা আয় বড়বে, কী করে আর দু‘টো নয়া সড়ক গড়ে তুলা যাবে, কী করে আজ জনতাকে চুসে চুষে অসাধারণদের গতরে চর্বির কামার গড়ে তোরা যায়- ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু একজন মা কী করেন? একজন ‘মা’ তার জীবনের সকল সুখ-স্বপ্ন বলি  দিয়ে জীবনের সকল যত্ন ও সাধনার রস সঞ্চিত করে তার আদরের দুলার-দুলালীকে গড়ে তুলেন  আগামী দিনের উন্নত নাগরিক রূপে। যে নাগরিক জাতির আশা-আকাংখার ফসল ফলাবে। যুগ যুগ ধরে নারী জাতি যদি  তাদের কলিজার ধন সন্তানকে রাত-দিন অবিরাম সাধনার মাধ্যমে সুমানব হিসেবে গড়ে না তুলতেন তাহলে এই উন্নত বিশ্বকে আধুনিক রূপ কে দিত, বলুন !  কে সাজাতো এই বিজ্ঞানের যুগকে নব নব আবিস্কারের সাজে ! সুতরাং যে ‘মা’ জাতির অবিরাম সাধনার ফসল এই বিশ্বভরা অগণন দার্শনিক, সাহিত্যিক, পথ প্রদর্শক, বিপ্লবী, সংগ্রামী, বিজ্ঞানী, দাতা, শিল্পপতি সেই মা জাতির  জন্যে যদি এমন একটি ভুবন সৃসি।ট করা হয় যেখানে তাদের সাথে দেখা করার উপযুক্ত নয় এমন কেউ প্রবেশ করতে পারবে না- তাহলে কি তাদের প্রতি খুব একটা অবিচার করা হবে- না তাদের ব্যক্তিত্বকে  আরও উজ্জ্বলতর করে ফুটিয়ে তোলা হবে?
এই পৃথিবীতে যত সংসার আছে, চাই সেটা ছোট হোক বা বড়, ধনী হোক বা গরীব-যদি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় তাহলে এটাউ প্রতীয়মান হবে, একটি সংসারের শৃখলা প্রতিষ্ঠা উন্নতও শান্তির মূল চালিকা হলেঅ সেই ঘরের ঘরণী এবং  এও প্রমাণিত হবে, নারীর অবদান সে কোন মেঠো প্রকুতির স্হল অবয়বের নয়। বরং নারীর অবদান অনেকটা সূক্ষ মনন ও সৃজনধর্মী। তাই ইসলাম নারীর সাথে পর্দা নামের এমন এক কোমল আভিজাত্যপূর্ণ অভিধা  জুড়ে দিয়েছেন যা নরীকে সমাজের একটি আলোকময় মর্যাদাপূর্ণ আসনে সমাসীন করে রেখেছে যুগ যুগ ধরে। সুতরাং নিষ্কলুষ যুক্তি ও স্বচ্ছ বিবেকের কাঠগড়ায় বিচার করলেও েএটাই প্রতীয়মান হবে, পর্দা নরীর আভিজাত্য ও ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলে, নারীর নারীত্বকে করে মহান মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দরেযে বিকশিত ও প্রস্ফুটিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published.