আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ সকল মুমিন নর-নারীকে ক্ষমা করুন, সকলকে বরযখের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন, আখিরাতের সকল মঞ্জিল সহজ ও নিরাপদে পার করিয়ে দিন।
কবরের আযাব সত্য। কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এই আযাব থেকে মুক্তির প্রথম শর্ত ঈমান। দ্বিতীয় শর্ত ঈমানের দাবি অনুযায়ী জীবন যাপন, বিশেষত যেসব গুনাহর কারণে কবরে আযাবের কথা বর্ণিত হয়েছে তা থেকে সর্বোতভাবে বেঁচে থাকা এবং যেসব আমলের দ্বারা কবরের আযাব থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি বর্ণিত হয়েছে সেসব আমল গুরুত্বসহকারে করা।
এখানে আমি যে কথাটি বলতে চাচ্ছি তা এই যে, কাউকে বলতে শোনা যায়, কৃত গুনাহর কারণে যার কবরে আযাব হওয়ার কথা তার দাফনের পর যখনই কোনো জুমআ বা রমযান আসে তখন থেকে কিয়ামত পর্যন্ত তার আযাব বন্ধ হয়ে যায়।
অনেকে এ কথার পক্ষে আহসানুল ফাতাওয়ার উদ্ধৃতিও দিয়ে থাকেন।
বাস্তবে এ ধারণা ভিত্তিহীন। এ ধরনের কথা কোনো সহীহ হাদীস বা শরীয়তের কোনো দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। আহসানুল ফাতাওয়ায় (৪/২০৮) যদিও এমন কথা আছে, কিন্তু আহসানুল ফাতাওয়ার তাতিম্মা (পরিশিষ্ট) অর্থাৎ আহসানুল ফাতাওয়ার দশম খন্ডে (পৃষ্ঠা : ৪৩৩-৪৩৫)-এ দলিল-প্রমাণসহ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং আগের কথাটিকে ভিত্তিহীন বলা হয়েছে।
সুতরাং এই ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করা ও বলা থেকে বিরত থাকা উচিত। আর কবর ও আখিরাতকে সর্বোচ্চ সুন্দর বানানোর চেষ্টায় সর্বদা নিয়োজিত থাকা উচিত। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।
আসসালামু আলায়কুম।
আমি আপনার অনলাইন পত্রিকার নিয়মিত পাঠক। আমার প্রশ্ন অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন।
মসজিদের ইমামের গুনাবলি কি হওয়া উচিত?যদি বেশির ভাগ মুসল্লি ইমামের প্রতি অনাস্হা প্রকাশ করে, তাহলে তাঁর পিছে নামায পড়া উচিত হবে কি?
আশা করি প্রশ্ন দুইটির উত্তর দিবেন।আল্লাহ আপনাকে সুস্হ রাখুন।আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য…
আমাদের ফেসবুক পেজ হলো https://www.facebook.com/islamforu2013
এখন বলতে পারলেও বিস্তারিত জেনে জানানো উত্তম মনে করতেছি।
ইনশাআল্লাহ আগামি ২ দিনের মধ্যে একজন্য প্রশিদ্ধ আলেমের নিকট থেকে এর উত্তর নিয়ে আপনাকে জানাবো।
আর একটি বিষয় পরিস্কার করলে ভালো হতো মুসল্লিরা কেন ইমামের উপর নাখোশ??
ইমাম সাহেব সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি বিশেষ করে তার তিলাওয়াত ও চরিত্র সম্পর্কে।