রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে মানব জীবনের প্রতিটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রেখে গেছেন, সেভাবে খানাপিনার বিষয়েও তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আমাদের জন্য রেখে গেছেন।
একদা এক মুশরিক ইসলামের বিপক্ষে মন্তব্য করে সাহাবী হযরত সালমান ফারসী (রা:)-কে বললেন, “তোমাদের নবী দেখি তোমাদের একবারে (ছোটখাট) সবকিছুরই শিক্ষা দিয়ে থাকেন; এমনকি পেশাব-পায়খানার নিয়ম-পদ্ধতিও।”
লোকটার উদ্দেশ্য ছিল খুঁত ধরা। অর্থাৎ পেশাব-পায়খানার কথাও কি কেউ কাউকে বলে দেয়? একটাও কি আবার শিক্ষাদানের বিষয়? লোকটার ধারণা ছিল, এতো এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় যে, নবী ও পয়গম্বরের ন্যায় কোন সুমহান ও বিরাট ব্যক্তিত্বেরও এ বিষয়ে কথা বলতে হবে!
হযরত সালমান ফরাসী (রা:) লোকটিকে বললেন, দেখো, তুমি যে বিষয়টাকে লজ্জার বস্তু মনে করেছ, তা আমাদের কাছে ফখর ও গর্বের বিষয়। অর্থাৎ তিনি আমাদের এমনই দরদি নবী, যিনি আমাদের পেশাব-পায়খানার রীতিনীতিও শিখিয়ে গেছেন, যাতে আমরা (পুতপবিত্র) কিবলার দিকে বসে তার অপমান না করি; ডান হাতে ঢিলা-কুলুপ ও পানি ব্যবহার করে বে-আদব না হই। একবারে একজন আদর্শ ও দয়াদ্র মাতা-পিতার অনুরূপ।
স্বরনীয় যে, কোন মাতা-পিতা যদি লজ্জা ও সংকোচবশত সন্তানকে সুশিক্ষাদানে বিরত থাকে, তথা পেশাব-পায়খানার মতো যাবতীয় ছোটখাটো ও গোপনীয় বিষয়াদিও শিক্ষাদান বর্জন করে বসে, তাহলে তারা জীবনভরই এসব বিষয়াদির সঠিক নিয়ম পালন করতে অক্ষম তেকে যাবে। আর আমাদের নবীজি সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বাবা-মার তুলনায় শতগুন বেশি স্নেহশীল ও দয়ালু ছিলেন। ফলে খুটিনাটি সবকিছু শিখিয়ে গেছেন।