রাসূল বিতরের নামাজে ৩য় রাকাতে কেরাতের পর দুআ কুনূত পড়তেন

রাসূল তৃতীয় রাকাতে কেরাত সমাপ্ত করার পর রুকু করার পূর্বে দুআয়ে কুনূত পড়তেন:

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জীবনে বিতরের নামাজ ৩রাকাত পড়তেন। ৩রাকাতের তৃতীয় রাকাতে কেরাত সমাপ্ত করে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে দুআয়ে কুনুত পড়তেন। নিচে তার কিছু দলিল তুলে ধরা হলো।

১.হযরত আসিম আহ্ওয়াল বলেন-

سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ الْقُنُوتِ فِي الصَّلَاةِ فَقَالَ نَعَمْ فَقُلْتُ كَانَ قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَهُ قَالَ قَبْلَهُ قُلْتُ فَإِنَّ فُلَانًا أَخْبَرَنِي عَنْك أَنَّكَ قُلْتَ بَعْدَهُ قَالَ كَذَبَ إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الرُّكُوعِ شَهْرًا أَنَّهُ كَانَ بَعَثَ نَاسًا يُقَالُ لَهُمْ الْقُرَّاءُ وَهُمْ سَبْعُونَ رَجُلًا إِلَى نَاسٍ مِنْ الْمُشْرِكِينَ وَبَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ قِبَلَهُمْ فَظَهَرَ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ كَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ فَقَنَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الرُّكُوعِ شَهْرًا يَدْعُو عَلَيْهِمْ. رواه البخارى فى الصحيح-৪০৯৬
অর্থ: আমি হযরত আনাস রা. কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, কুনূত আছে । আমি জিজ্ঞেস করলাম রুকুর আগে না পরে? তিনি বললেন- রুকুর আগে। আমি বললাম একজন আমাকে বলেছেন, আপনি রুকুর পরে কুনূত পড়ার কথা বলেছেন? তিনি বললেন- সে ভুল বলেছে । রুকুর পরে তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু এক মাস কুনূত পড়েছেন। (যা ছিল মূলত কুনূতে নাযেলা)।
সহীহ বুখারী হা.৪০৯৬

২.হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. বলেন-
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ يُوتِرُ بِثَلاَثِ رَكَعَاتٍ كَانَ يَقْرَأُ فِى الأُولَى بِـ سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى وَفِى الثَّانِيَةِبـ  قُلْ يَا أَيُّهَاالْكَافِرُونَ  وَفِى الثَّالِثَةِ بِـ  قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوعِ.رواه النسائى فى السنن برقم-১৬৯৯والطحاوى فى مشكل الآثار ১১/৩৬৮ وصححه ابن القطان فى الوهم والايهام ৩/৩৮৩ والالبانى ايضا فى ارواء الغليل ২/১৬৭ كما سبق.
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন রাকাত বিতরের নামাজ পড়তেন। প্রথম রাকাতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা কাফিরুন, তৃতীয় রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়তেন। এবং রুকুর পূর্বে দুআ কুনূত পড়তেন ।
সুনানে নাসায়ী ১/১৯১ হা.১৬৯৯ মুশকিলুল আছার ১১/৩৬৮
হাদীসটি সহীহ- আল ওয়াহামু ওয়াল ইহাম ৩/৩৮৩ (হাদীসটি তিন রাকাতে তিন সূরা পড়া শিরোনামে উদ্ধৃত হয়েছে)
অনুরূপ সাহাবায়ে কেরামও বিতরের নামাযে রুকুর পূর্বে দূয়া কুনূত পড়তেন; যা সহীহ সনদে প্রমাণিত। এ ব্যাপারে লা-মাযহাবীদের আস্থাভাজন আলেম স্বয়ং আলবানী সাহেব বলেন-
وذلك أنه قد صح عنه صلى الله عليه وآله وسلم أنه كان يقنت في الوتر قبل الركوع كما يأتي بعد حديث ويشهد له أثار كثيرة عن كبار الصحابة كما سنحققه في الحديث الآتي بإذن الله تعالى. والخلاصة أن الصحيح الثابت عن الصحابة هو القنوت قبل الركوع في الوتر وهو الموافق الحديث الآتي انتهى من  إرواء الغليل ۲/۱٦٦
অর্থ:… সহীহ সূত্রে প্রমাণিত যে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাযে রুকুর পূর্বে কুনুত পড়েছেন। যার আলোচনা একটি হাদীস পরেই আসবে। কিবারে সাহাবাদের থেকে বর্ণিত অনেক আছার এর পক্ষে দলিল। … সারকথা হল,সাহাবীদের থেকে সহীহ সূত্রে এটিই প্রমাণিত যে, বিতরের কুনূত রুকুর পূর্বে। ইরওয়উল গালীল ২/১৬৬

কেরাত সমাপ্তির পর তাকবীর বলে দূয়া কুনূত পড়বে:
হযরত মাসরূক,আসওয়াদ ও ইবনে মাসউদ রা.এর আরো কতিপয় শিষ্য বলেন-
كان عبد الله ্র لا يقنت إلا في الوتر ، وكان يقنت قبل الركوع ، يكبر إذا فرغ من قراءته حين يقنت গ্ধ رواه الطحاوفى مشكل الآثار ১১/৩৭৪ وابن ابى شيبة برقم-৭০২১ (وكذا ثبت عن اصحابه ايضا, واسناده صحيح, اقر به الالبانى فى الارواء ২/১৬৬) وكذاروى عن على عند ابن ابى شيبة ৫/৩৯ برقم-৭১১৩ وغيره .
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. শুধু বিতরের নামাযেই কুনূত পড়তেন। তাঁর কুনূত ছিল রুকুর পূর্বে। কেরাত সমাপ্ত করার পর তাকবীর বলে কুনূত শুরু করতেন। মুশকিলুল আছার ১১/৩৭৪ ইবনে আবী শাইবা হা.৭০২১ এর সনদ সহীহ।
তাঁর শিষ্যবর্গও অনুরূপ আমল করতেন। এবং হযরত আলী রা. থেকে অনুরূপ আমল বর্ণিত হয়েছে। ইবনে আবী শাইবা হা.৭১১৩

ইমাম তহাবী র. এ দুটি বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন-
فكان هذا مما يعلم أن عليا وعبد الله لم يقولاه استنباطا ، ولا استخراجا ، إذ كان مثله لا يقال بالاستنباط ولا بالاستخراج ، وإنما يقال بالتوقيف الذي وقف رسول الله صلى الله عليه وسلم الناس عليه. شرح مشكل الآثار ১১/ ৩৭৪

অর্থ: এ থেকে বুঝা যায় হযরত আলী ও ইবনে মাসউদ রা. এ কথা নিজেদের থেকে বলেন নি, বরং রাসুুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেনে বলেছেন। কারণ, ইবাদতের এ বিষয়গুলো নিজ থেকে বলার নয়।
মুশকিলুল আছার ১১/৩৭৪

দুআয়ে কুনূত:
হাদীস শরীফে এ প্রসঙ্গে একাধিক দুআ এসেছে। তন্মধ্যে
ক.“আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তা‘ঈ নুকা …”
মুহাম্মদ ইবনে নসর আল মারওয়াযী বর্ণনা করেন-
وروينا عن عمر: أنه كَانَ يقول في القنوت في الوتر: بسم اللَّه الرحمن الرحيم، اللهم إنا نستعينك ونستغفرك ونثني عليك وَلا نكفرك ونخلع، ونترك من يفجرك بسم اللَّه الرحمن الرحيم، اللهم إياك نعبد ولك نصلي ونسجد وإليك نسعى ونحفد، نرجو رحمتك ونخاف عذابك إن عذابك بالكافرين ملحق. رواه ابن نصر فى صلاة الوتر
অর্থাৎ হযরত উমর রা. বিতরের কুনূতে পড়তেন- “আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতা‘ঈ নুকা …” দুআটি।

হযরত আবু আব্দুর রহমান বলেন-
عَلَّمَنَا ابْنُ مَسْعُودٍ أَنْ نَقْرَأَ فِي الْقُنُوتِ : اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ ، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ ، وَلاَ نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ ، اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ ، وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ ، وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ ، نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ الْجِدَّ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ.رواه ابن ابى شيبة فى المصنف برقم-৬৯৬৫
শব্দের সামান্য ব্যতিক্রম সহ অন্যান্য বর্ণনায়ও এ দুআ এসেছ। যেমন: এক বর্ণনায়Ñونؤمن بك ونتوك-  عليك، এ বাক্য দুটি বর্ধিত এসেছে। ইবনে আবী শাইবা ১৫/৩৪৪
তহাবীর এক বর্ণনায় (১/১৭৭)ونشكرك  শব্দটিও রয়েছে।

এই বর্ণনা গুলির আলোকে পূর্ণ দুআটি এভাবে পড়া যায়-
اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ ، ونؤمن بك ونتوكل عليك، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ ، ونشكرك وَلاَ نَكْفُرُكَ ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ ، اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ ، وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ ، وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ ، نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ ، إِنَّ عَذَابَكَ الْجِدَّ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ.
অর্থ: ইয়া আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই, তোমার কাছেই ক্ষমা প্রর্থনা করি, তোমার প্রতিই ঈমান রাখি এবং তোমারই উপরই ভরসা করি। আর তোমার উত্তম প্রশংসা করি। আমরা তোমার শোকরগোযারী করি, নাশোকরী করি না। যে তোমার অবাধ্য হয় তাকে আমরা পরিত্যাগ করি ও তার সংশ্রব বর্জন করি। ইয়া আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমার জন্যই নামায পড়ি, তোমাকেই সাজদা করি এবং তোমার দিকেই ধাবিত হই। আর তোমারই দাসত্ব অবলম্বন করি। আমরা তোমার রহমতের আশা রাখি, তোমার আযাবকে ভয় করি। নিশ্চয় তোমার আযাব কাফেরদের উপর পতিত হবে।

সুনানে বায়হাকীর এক বর্ণনায় এসেছে যে, হযরত জিব্রীল আ. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুনূত শিক্ষা দিয়েছেন। এরপর শব্দের সামান্য তারতম্যসহ উপরোক্ত দুআটি উল্লেখিত হয়েছে।
(বাইহাকী: ২/২১০ আল মুদাওয়ানা ১/১০১ বর্ণনাটি মুরসাল এবং এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য- নাতাইযুল আফকার লি ইবনে হাজার ২/১১১)

হযরত আনাস, হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা. তাবেয়ী ইবরাহীম নাখায়ী, আতা, তাউস, ইবনুল মুসায়্যিব র. প্রমুখ বিত্রে এ দুআটিই পড়তেন। বরং সাহাবাদের অনেকেই এই দুআ পড়তেন। হযরত আমর বলেন- তাবেয়ী হাসান বসরী র. এ দুআটিই পড়তেন। তাঁকে একজন জিজ্ঞেস করল, এই দুআর অতিরিক্ত আর কিছু পড়া যাবে কি? তিনি উত্তরে বললেন-
لا انهاكم ولكنى سمعت اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم لايزيدون على هذا شيئا. ويغضب اذا ارادوه على الزيادة. روا عبد الرزاق فى المصنف৩/১১৬
অর্থাৎ তোমাদেরকে আমি নিষেধ করব না; তবে আমি রসুলের সাহাবীদের এর অতিরিক্ত কিছু পড়তে দেখিনি। …।
আব্দুররাযযাক ৩/১১৬

তাই ফুকাহায়ে আহনাফ ও ইমাম মালিক র. এই দুআকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। ইবনে আব্দিল বার র. বলেন-
قال الكوفيون ومالك: وليس فى القنوت دعاء موقت، ولكنهم يستحبون الا يقنت الا بقولهم : اللهم انا نستعينك…انتهى الاستذكار ৬/৩০২
অর্থ: কুফার অধিবাসী আহলে ইলমগণ ও ইমাম মালেক বলেন- দুআ কুনূত একেবারে সুনির্দিষ্ট নয়। তবে তাঁরা এই দুআটি পড়া উত্তম মনে করেন।
খ.হযরত হাসান ইবনে আলী রা. বলেন-
علمني رسول الله صلى الله عليه و سلم كلمان أقولهن في الوتر : اللهم اهدني فمين هديت وعافني فيمن عافيتن وتولني فيمن توليت وبارك لي فيما أعطيت وقني ما قضيت فإنك تقضي ولا يقضى عليك وإنه لا يذل من واليت تباركت ربنا وتعاليت.رواه الترمذى فى السنن برقم-৪৬৪ وابو داود فى السنن ১/৫২৬ والنسائى ১/২৫২ وابن ماجة ১/১৮৫ واحمد فى المسند برقم-১৭১৮ وقال شعيب : اسناده صحيح.

অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিতরে পড়ার জন্য কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন- (অর্থ:) ইয়া আল্লাহ! যাদেরকে আপনি হেদায়েত দিযেছেন তাদের সঙ্গে আমাকেও হেদায়েত দিন, যাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, যাদেরকে আপনার তত্ত্বাবধানে গ্রহণ করেছেন তাদের সঙ্গে আমাকেও গ্রহণ করুন, আমাকে যা কিছু দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন, আর আমাকে আপনার অকল্যাণের ফায়সালা থেকে হেফাযতে রাখুন। কেননা আপনিই ফায়সালাকারী, আপনার ওপর কোনো ফয়সালাকরী নেই। নিঃসন্দেহে যাকে আপনি সাহায্য করেন সে কখনো লাঞ্ছিত হয় না; আর যাকে আপনি সাহায্য-বঞ্চিত করেন সে কখনো সম্মান লাভ করে না। হে আমাদের রব, আপনি মহান, সমুচ্চ!
(সুনানে আবু দাউদ: ১/৫২৬; সুনানে নাসায়ী: ১/২৫২; জামে তিরমিযী: ১/১০৬ হা.৪৬৪; সুনানে ইবনে মাজা: ১/১৮৫ মুসনাদে আহমদ হা.১৭১৮)

বরং নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও বিত্রে এ দুআটি পড়েছেন।
(দ্র.সুনানে কুবরা-বাইহাকী, ২/২১০ মুখতাসারু সালাতুল বিতর লিল মারওয়াযী-২৯৬-২৯৭ )
তাই অনেকে উভয় দুআই পড়তেন।

হযরত সুফইয়ান ছাউরী বলেন-
كانوا يستحبون أن يجعلوا ، في قنوت الوتر هاتين السورتين : اللهم إنا نستعينك ونستغفرك ، ونثني عليك ولا نكفرك ، ونخلع ونترك من يفجرك ، اللهم إياك نعبد ولك نصلي ونسجد ، وإليك نسعى ونحفد ، نخشى عذابك ونرجو رحمتك ، إن عذابك بالكفار ملحق ، وهذه الكلمات : اللهم اهدني فيمن هديت ، وعافني فيمن عافيت ، وتولني فيمن توليت ، وبارك لي فيما أعطيت ، وقني شر ما قضيت ، إنك تقضي ولا يقضى عليك ، لا يذل من واليت
تباركت ربنا وتعاليت ، ويدعو بالمعوذتين.رواه ابن نصر فى صلاة الوتر صـ ৩০১ وقال الحافظ فى نتائج الافكار ২/১১৪، ৫০৩: اخرجه ابن نصر بسند صحيح… انتهى.
অর্থ: আমি আমার পূর্বসূরিদের দেখেছি তাঁরা বিতরে উপরোক্ত দুটি দুআ পড়াকেই উত্তম মনে করতেন।
সালাতুল বিত্র পৃ.৩০১
মুসান্নাফ গ্রন্থকার ইমাম আব্দুররাযযাক র.ও এ তরিকা অবলম্বন করেছেন (আল মুসান্নাফ৩/১১৬)। ইমাম নববী র. আমাদের অনেকেই বলেন- উভয় দুআ একত্রে পড়াটাই উত্তম (শরহুল মুহাযযাব ৩/৪৭৫-৪৭৮)।

পরবর্তী হানাফী ফকীহদের অনেকেই উভয় দুআ একত্রে পড়াকে পছন্দ করেছেন । দ্র. মাবসূতে সারাখসী ১/১৬৫ বাদয়েউস সানায়ে ২/২৩২ আল বাহরুর রায়েক ২/৪১-৪২ আল মুহীতুল বুরহানী ২/২৬৮ গুন্ইয়াতুল মুসতামলী পৃ.৪১৭ জামির রুমুজ ১/২৫২ মাজমাউল আনহুর ১/১৯১ মারাকিল ফালাহ পৃ.২০৯ তাহতাবী আলাদদুর ১/২৮০ আল ফাতাওয়াল হিন্দিয়া ১/১১১

অর্থাৎ হাদীসের আলোকে এই কথা সুস্পষ্ট যে বিতরের নামাজ ৩রাকাত এবং তৃতিয় রাকাতে সুরা পড়ার পরে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে তাকবির দিয়ে দুআয়ে কুনুত পড়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লামের আমল ছিলো। সাহাবা আজমায়িনের মধ্যেও এই আমল পাওয়া যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published.