বর্তমান সময়ে কবর যিয়ারত করা নিয়ে সমাজে অনেক বিভ্রান্তি প্রচলিত আছে। এইখানে চেষ্ঠা করবো সহিহ পদ্ধতিতে কবর যিয়ারতের বিধান তুলে ধরার।
পুরুষের জন্য কবর যিয়ারত করা মোস্তাহাব। নারী, যুবতী হলে তার জন্য কবরে যাওয়া জয়েয নেই। তবে বৃদ্ধা হলে কান্নাকাটি, মাতম ইত্যাদি শরী’আত বিরোধী কাজ করবে না- এরূপ একীন থাকলে সাজসজ্জা না করে খুশবু না মেখে পর্ধার সাথে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। (ইমদাদুল আহকাম, ইমদাদুল ফাতাওয়া)
# প্রতি সম্পাহে অন্তত একবার কবর যিয়ারত করা মোস্তাহাব। (আহকামে মাইয়েত)
# শুক্রবার কবর যিয়ারত করা অধিক উত্তম। বৃহস্পতিবার, শনিবার এবং সোমবারও কবর যিয়ারত করা উত্তম।
# কবরস্হানে প্রবেশ করে সমস্ত কবরবাসীর উদ্দেশ্যে নিম্নে বাক্যে সালাম দিবে-
“আসসালামু আলাইকুম দারা কাওমিম মুঅমিনিনা, ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন। ওয়ানাস আলুকাল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল আফিইয়াত”।
অর্থ: হে মু‘মিন সম্প্রদায়ের আবাসস্হলের অধিবাসীগণ! তোমাদের প্রতি শানিত বর্ষিত হোক, আমরাও আল্লাহ চাহেতো তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য এবঙ তোমাদের জন্য শানিতর আবেদন করছি।
# অতপর উদ্দিষ্ট মাইয়েতের পয়ের দিক থেকে চেহারার (কেবলার) দিকে যেয়ে দাড়াবে বা বসবে। বসলে জীবদ্দশায় তার সাথে যেরূপ সম্পর্ক ছিল সে অনুযায়ী নিকটে বা দূরে বসবে।
# সালামের পর কেবলার দিকে পিঠ এবং মাইয়েতের (কবরের) দিকে মুখ করে যথাসম্ভব কুরআন শরীফ পড়ে মাইয়েতকে ছাওয়াব পৌছে দিবে। বিশেষভাবে সূরা-বাকারার শুরু থেকে মুফলিহুন পর্যন্ত, আয়াতুল কুরছী, সুরা-বকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা ফাতেহা, সূরা ইয়াসীন, সুরা মুলক, সুরা-তাকাছুর বা সুরা এখলাস ১১/১২ বার কিংবা ৭ বার বা য পরিমাণ সহজে পড়তে পারে পড়ে দু‘আ করবে। মাইয়েতের মাগফিরাতের জন্যও দুআ করবে।
# তিলাওয়াত ও দু‘আ দুরূদ পড়ার পর কেবলামুখী হয়ে (অর্থাৎ, মাইয়েতের দিকে পিঠ করে দুআ করবে।)