বিউটি-সার্জারি এবং ক্রিম সম্পর্কে শরীয়তের বিধান

রুপ-সৌন্দর্য এর প্রতি আকর্ষণ এবং নিজেকে প্রকাশ করার চেতনা মানুষের স্বভাবজাত। তাই ইসলাম মানুষের এই স্বাভাবজাত চেতনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। সেই সাথে তাকে শীলিত ও পরিচ্ছন্নরূপে উপস্হাপনে পালন করেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ইসলাম উন্নত বস্র পরিধান, মাথার চুলকে পরিপাটি করে রাখা, অঙ্গ-প্রথ্যঙ্গের শীলন বিন্যাসে দিয়েছে বেশ কিছু রুচিময় রীতিনীতি। ফলে ইসলামের ছোয়ায় মানুষের সেই সৌন্দর্যবোধ বিকশিত হয়েছে আরও সুন্দর অবয়বে। ইসলাম মেয়েদের জন্য রেশমি ও ঘাঢ় রঙের কাপড় পরিধানের অনুমতি দিয়েছে, অনুমতি দিয়েছে অলংকার পরিধানের। সেই সাথে বাড়াবাড়ি ও কৃত্রিমতাকে করেছে বারণ। এ কারণেই দেখা গেছে, হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথায় উচ্চ বেণী বাধা, কৃত্রিমরূপে দাতকে সুচালো করা, দাতের মাঝখানে কৃত্রিম ফাক সৃষ্টি করা এবং মাথায় কৃত্রিম চুল স্হাপনকে অপছন্দ করেছেন। অপছন্দ করেছেন চোখের ভ্রুকে কৃত্রিমরূপে চিকন করাকেও। আর এটাকে আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধন বলে উল্লেখ করেছেন।

আমাদের ফকীহগণও এ কেষত্রে মাঝামাঝি পন্হাকে পছন্দ করেছেন। তারা বলেছেন যদি কারো হাতে অস্বাভাবিক কোন ক্ষুদ্র আঙ্গল গজায় তাহলে তা অপারেশন করে কেট ফেলা জায়েয আছে। সাজ-সজ্জার এ ক্ষেত্রে আমাদের ফকীহগণ স্বামীর মেযাজকেও গুরুত্ব দিয়েছে। তাই স্বামী যদি শারীরিক স্হূলতাকে পছন্দ করে তাহলে সে ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্যে বিশেষভাবে ছারিদ খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।এখানে লক্ষনীয় বিষয় হলো, একদিকে যেমন অস্বাভাবিক অঙ্ঘকে অপারেশন করে সরিয়ে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে, অন্যদিকে শুধু খাধ্যের দ্বারা শারীরিক বৃদ্ধিকেও সমর্থন ইত্যাদি ব্যবহার করাতেও কোন অসুবিধা নেই। এর কারণে আল্লাহর অন্য কোথাও কোন অস্বাভাবিক গোশত বৃদ্ধি পায় তাহলে তা অপারেশন করে সরিয়ে ফেলার অনুমতি আছে, কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বয়সজনিত কারণে যদি চেহারা কুচকে যায় তাহলে অপারেশন করে তা দূর করা, অপারেশন করে নাক চোখা করা ইত্যাদি জায়েয নেই।
কারণ, এটি আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনের শামিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published.