জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-১

ভূমিকা:

ইখতিলাফে মাযমূম (অযৌক্তিক ও নিন্দনীয় মতভেদ) তো সর্বাবস্থায় বর্জনীয়; এক্ষেত্রে প্রকৃত সত্য একটিই, যা সুনির্দিষ্ট এবং যা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এই সত্য থেকে যে বিমুখ হবে ইখতিলাফের গোনাহ ও দায়দায়িত্ব তার উপর। ইখতিলাফে মাহমূদ বা মাশরূ’ যা বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত- এক্ষেত্রেও বিধান এই যে, একে গলদ তরিকায় ব্যবহার করে বিভেদের দ্বার উন্মুক্ত করা যাবে না। তবে ন্যায়ের সীমা অতিক্রম না করে, সংলাপের নীতিমালা মেনে দলীলনির্ভর ইখতিলাফি মাসায়েলে ‘ইলমী জিদাল ও মুনাকাশা’ তথা আলেমসুলভ বিতর্ক ও পর্যালোচনার অবকাশ রয়েছে। এবং এই ধারাবাহিকতা অতিপ্রাচীন। আক্ষেপের বিষয়, কিছু মানুষ এখন এধরণের মাসায়েলে ‘ইলমী মুনাকাশার’ পরিবর্তে রেষারেষি ও অপবাদ আরোপের পথ বেছে নিয়েছে। যে কারণে তাদেরকে নিজেদের আলোচনার ভিত্তি রাখতে হয়েছে অবাস্তব সব দাবি-দাওয়ার উপর। রেওয়ায়েতসমূহের গ্রহণ-বর্জনের ক্ষেত্রেও তাদের নিতে হয়েছে উসূল ও নীতিমালার পরিবর্তে না-ইনসাফি ও পক্ষপাতিত্বের পথ। এমন কাজ যে-ই করুক বা করে থাকুক সে ন্যায়ের পথ থেকে অবশ্যই বিচ্যুত এবং ইলমের আমানত বিনষ্টের অপরাধে অপরাধী।

জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর ছালাত’ নামের বইটি ‘ইলমী মুনাকাশা’র চেয়ে অপবাদ ও না-ইনসাফিরই উপর বেশি নির্ভরশীল। বইটির নাম থেকেই যা অনুমেয়। এর আবরী নামটিও বড় অদ্ভুত।
Ôصلاة الرسول صلى الله عليه وسلم بقبضة الأحاديث الضعيفة والموضوعة।
নাম তো আক্রোশে ঠাসা, কিন্তু বিশুদ্ধতার দিক দিয়ে শূন্য! আল্লাহর মেহেরবানী যে, এ বইয়ের একটি কপি জনৈক আলেমের হস্তগত হয়। যিনি হযরত মাওলানা আব্দুল গাফফার সাহেবের ভক্ত এবং এক সময় তার মুসল্লিও ছিলেন- তিনি তা মাওলানার কাছে পৌঁছান এবং এ বই সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশের অনুরোধ জানান। এই অনুরোধকে গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে মাওলানা এ বিষয়ে এক দীর্ঘ চিঠি লেখেন। যা একটি স্বতন্ত্র প্রবন্ধের রূপ লাভ করে। বিষয়বস্ত্ত পুরোপুরি ইলমী ও সূক্ষ্ম হওয়া সত্ত্বেও ভাষার সাবলীলতা ও পাঠ-মাধুর্য তাতে ব্যাহত হয়নি। ইলমী দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনার যতখানি হক আদায় করা সম্ভব তাতেও প্রবন্ধটি সফল, আলহামদুলিল্লাহ। পাঠকদের কাছে নিবেদন, চিঠিটি তারা চিন্তা সহকারে পড়বেন এবং বারবার পড়বেন। দলীলের বিশ্লেষণসহ ইখতিলাফি মাসায়েল অধ্যয়ন করে যারা অভ্যস্ত- ইনশাআল্লাহ তারা এতে সেই চাহিদা নিবারণের প্রচুর উপাদান পাবেন। প্রবন্ধকারের কাছে আবেদন, ইনসাফ ও ইলমী গভীরতা এবং ভাষার সাবলীলতা ও প্রাঞ্জলতার এই ধারা বজায় রেখে তিনি সম্পূর্ণ বইটির উপর তার পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন লিপিবদ্ধ করবেন। আল্লাহ তা‘আলা সুস্থতা ও নিরাপত্তার সাথে তাকে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করেন।
আমীন।

(মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক)

 

 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

মুহতারাম,

আপনার প্রেরিত মুযাফ্ফর বিন মুহসিন প্রণীত ‘‘জাল হাদীসের কবলে রাসুলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ছালাত’’ নামক বইটি পেয়েছি। এরূপ একটি বই প্রেরণের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের এনায়েত করুন,
আমীন।
আপনার পক্ষে বর্তমানে কোনো কিতাবাদি দেখা সম্ভব নয় বিধায় আপনি আমাকে আদেশ করেছেন, বইটিতে যা বলা হয়েছে তার সত্যাসত্য ও যথার্থতা যাচাই করে আপনাকে জানাতে।

বইটির নাম থেকে শুরু করে উপসংহার পর্যন্ত লেখকের বক্তব্য, উদ্ধৃতি ও হাদীসের ব্যাখ্যাসহ সবকিছুই ব্যাপক ও গভীর আলোচনা ও পর্যালোচনার দাবি রাখে। কিন্তু এর জন্য যে পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন সেই সময় বের করা আমার পক্ষে কষ্টকর। কারণ, আপনি জানেন, মাদারটেকের একটি মাদরাসায় বুখারী শরীফ ১ম খন্ড, আমাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠিত জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়ায় বুখারী শরীফ ২য় খন্ড, মিশকাত শরীফ ১ম খন্ডসহ বেশ কিছু কিতাবের দরস আমাকে দিতে হয়। সেই সঙ্গে শহীদবাগস্থ আব্দুস সোবহান মাদরাসার পরিচালনা-ভার ও আমাদের প্রতিষ্ঠিত জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকা -এর ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্ব এবং মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব তো আছেই। অতএব সময়ের স্বল্পতাহেতু পুরো বইটি নিয়ে আলোচনা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। তবে বইটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় যেহেতু সালাত, সেহেতু গ্রন্থখানির চতুর্থ অধ্যায়ে ‘‘ছালাতের সময়’’ শিরোনামের অধীনে আলোচিত বিষয়াবলীর মধ্য হতে শুধু ‘ফজরের ছালাতের ওয়াক্ত’ সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য নিয়ে সামান্য পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিলাম। পর্যালোচনা শেষে পুরো গ্রন্থখানি সম্পর্কে আমার মৌলিক কিছু বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

 

ফজরের ছালাতের ওয়াক্ত:

লেখক লিখেছেন, ছুবহে ছাদিকের পর হতে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়। সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। সমস্যাজনিত কারণে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যায়। এ পর্যন্ত লিখে তিনি ৪৫৫ নং টীকা যুক্ত করেছেন। টীকায় তিনি তাঁর উপরিউক্ত কথার বরাত দিয়েছেন বুখারী শরীফের ৫৫৬ ও ৫৭৯ নং হাদীসের।

পর্যালোচনা: বরাত অনুযায়ী নম্বর দুইটিতে ঐরূপ কোনো হাদীস আমি পাইনি। নম্বর দুইটিতে যে হাদীসটি আছে তা এই-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : إِذَا أَدْرَكَ أَحَدُكُمْ سَجْدَةً مِنْ صَلاَةِ الْعَصْرِ قَبْلَ أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَلْيُتِمَّ صَلاَتَهُ ، وَإِذَا أَدْرَكَ سَجْدَةً مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَلْيُتِمَّ صَلاَتَهُ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রাকআত পায় তখন সে যেন তার সালাত পূর্ণ করে এবং যখন সূর্যোদয়ের পূর্বে সালাতে ফজরের এক রাকআত পায় সে যেন তার সালাত পূর্ণ করে ।’

লেখক হয়তো বলবেন, ‘আমি এই হাদীসের বরাত দিয়েছি আমার শেষোক্ত বাক্য ‘‘সমস্যাজনিত কারণে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যায়’’-এর সমর্থনে’। কিন্তু লেখকের বিরূদ্ধে তখন প্রশ্ন দাঁড়াবে যে, এই হাদীসে তা বলা হয়নি। এই হাদীসে যা বলা হয়েছে তার মর্মার্থ হল, ফজরের এক রাকআত পড়ার পর যদি সূর্য উদিত হয়ে যায় তবে সূর্যোদয়ের কারণে সে যেন সালাত পরিত্যাগ না করে, বরং সে যেন তার সালাত পূর্ণ করে নেয়। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রাকআত আদায় করতে পারলে তার দ্বিতীয় রাকআতটি সূর্যোদয়ের মুহূর্তে আদায়কৃত হলেও তার সালাত হয়ে যাবে । সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত নয় বরং সূর্যোদয়ের মুহূর্তে আদায় করার কথা বলা হচ্ছে।

উল্লেখ্য: সূর্যোদয়ের মুহূর্তে সালাত আদায় অন্যান্য হাদীসের বক্তব্য মতে হারাম। সেইসব হাদীসের সঙ্গে এই হাদীসের বক্তব্য সাংঘর্ষিক হওয়ায় এই হাদীসের প্রায়োগিক ক্ষেত্র কী তা নির্ণয়ে ফকীহ ও মুহাদ্দিসগণের মাঝে বিস্তর মতভেদ রয়েছে। সেটি স্বতন্ত্র এক আলোচ্য বিষয়।

সমস্যাজনিত কারণে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যায়। লেখকের এই কথাটি এই হাদীসে তো নয়ই কোনো হাদীসেই নেই। দেখুন, লেখক প্রথমে বলেছেন যে, ছুবহে ছাদিকের পর হতে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়। সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। এটি শুধু লেখকের বক্তব্য নয়, ওয়াক্ত সংক্রান্ত সব হাদীসের বক্তব্যও তাই। সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত যখন ফজরের ওয়াক্ত থাকে তখন সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত ফজর আদায় করা সর্বাবস্থায় বৈধ হবে। কোন সমস্যা বা ওজর থাকুক বা না থাকুক। সমস্যাজনিত কারণে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যায়’ – লেখকের এই কথা দ্বারা বুঝা যায় যে, সমস্যা না থাকলে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আদায় করা যাবে না । অথচ একটু পূর্বে তিনি বলে আসলেন যে, ফজরের ওয়াক্ত সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত থাকে। লেখকের বক্তব্য এখানে স্ববিরোধী হয়ে যাচ্ছে। আসলে ‘সমস্যাজনিত কারণে’ শর্তটি লেখক নিজের পক্ষ হতে যুক্ত করে দিয়েছেন। সহীহ হাদীস জাল হয়ে যায় এভাবেই। আমি ভাবছি, লেখক জাল হাদীসের কবল হতে সালাতকে মুক্ত করার অভিযানে নেমে নিজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতকে জাল হাদীসের কবলে নিক্ষেপ করলেন না তো? নিজেই নিজের জালিয়াতির জালে আটকা পড়ে গেলেন না তো?

লেখক এরপর লিখেছেন, ‘আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা সর্বোত্তম হিসাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব ভোরে ছালাত আদায় করতেন। পূর্ব আকাশ ফর্সা হওয়ার পর ছালাত শুরু করতে হবে মর্মে কোন ছহীহ দলীল নেই।
বোঝা যাচ্ছে, লেখক ফজরের মুস্তাহাব বা পছন্দনীয় ওয়াক্ত কোনটি তা নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে লেখকের উচিত ছিল এই কথা লেখা ‘পূর্ব আকাশ ফর্সা হওয়ার পর ছালাত শুরু করা মুস্তাহাব এই মর্মে কোনো সহীহ দলীল নেই’ । কারণ, ‘করতে হবে’ আর ‘করা মুস্তাহাব’ কথা দুইটির মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। প্রথমটি অপরিহার্যতা বোঝায় আর দ্বিতীয়টি পছন্দনীয়তা বোঝায়। করতে হবে মর্মে কোন সহীহ দলীল নেই কথাটি শতভাগ সত্য। এই কারণে আমাদের জানামতে পৃথিবীর কেউ বলেন না যে, পূর্ব আকাশ ফর্সা হওয়ার পর ছালাত শুরু করতে হবে। লেখক দাবি করতে চাচ্ছেন, পূর্ব আকাশ ফর্সা হওয়ার পর ছালাত শুরু করা মুস্তাহাব মর্মে কোন সহীহ দলীল নেই অথচ বাক্য ব্যবহার করলেন, ‘করতে হবে মর্মে কোন সহীহ দলীল নেই।’ এতে পাঠককে বিভ্রান্ত করার একটা প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়।

লেখক বলেছেন, আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা সর্বোত্তম হিসাবে রাসূল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব ভোরে ছালাত আদায় করতেন। ‘‘আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা সর্বোত্তম’’ কথাটির বরাত দিয়েছেন তিরমিযী শরীফের ১৭০ নং হাদীসের এবং মন্তব্য লিখেছেন, সনদ সহীহ।

তাহকীক: ইমাম তিরমিযী রাহ. হাদীসটির সনদের উপর মন্তব্য করেছেন এই কথা বলে-

حديث أم فروة لا يروى إلا من حديث عبد الله بن عمر العمري وليس هو بالقوى عند أهل الحديث واضطربوا عنه في هذا الحديث وهو صدوق وقد تكلم فيه يحيى بن سعيد من قبل حفظه

ইমাম তিরমিযী রাহ.-এর এই মন্তব্য হাদীসটির সনদকে যঈফ বলে সাব্যস্ত করে। অথচ লেখক সনদটিকে সহীহ বললেন। ইমাম তিরমিযীর মন্তব্য অনুযায়ী হাদীসটিতে আব্দুল্লাহ ইব্ন উমার আল-উমারী নামক যে রাবী আছেন তিনি যঈফ। তিনি ব্যতীত উম্মে ফারওয়া রা.-এর এই হাদীসটি আর কেউ বর্ণনা করেন না। তদুপরি হাদীসটিতে ইযতিরাব রয়েছে। এতসব দোষ থাকা সত্ত্বেও সনদটিকে সহীহ বলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? হাঁ, শায়খ আলবানী রাহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। লেখক হয়তো তাঁর তাকলীদ করেই বলেছেন, সনদ সহীহ। তাকলীদ যদি করতেই হয় তবে শায়খ আলবানীর কেন, ইমাম তিরমিযীর নয় কেন? তাছাড়া শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সনদটিকে নয়। সনদ সহীহ হওয়া আর হাদীস সহীহ হওয়া এক কথা নয়। পরবর্তী আলোচনায় তা স্পষ্ট হবে। লেখকের উচিত ছিল শায়খ আলবানী রাহ. হাদীসটিকে কেন সহীহ বলেছেন তা তাহকীক করা ।

 

পরবর্তী অংশসমূহ:
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-২
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৩
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৪
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৫
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৬
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৭
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৮
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৯
জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-১০

2 Comments

  1. Pingback: জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-২ - ইসলাম বার্তা

  2. Pingback: জাল হাদীসের কবলে রাসূলের সালাত নাকি মুযাফ্ফরের কবলে-৩ - ইসলাম বার্তা

Leave a Comment

Your email address will not be published.